রাজবল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা : “…. গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরো নিকটবর্তী হইবে।” স্বামী বিবেকানন্দের বাণীকে পাথেয় করে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যুবসমাজই পারে জাতির মেরুদন্ড করতে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজবল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে এসে এভারেস্ট জয়ী পৌলোমি বসাক ছাত্র ও ছাত্রীদের এমনই আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে যে এভারেস্টে উঠতে হবে এমন নয়। ম্যাথমেটিক্স অনার্স নিয়ে পড়েও আমি পরিচিতি পেয়েছি এভারেস্ট জয় করার জন্য। খেলাধুলার জন্যই সকল বিদ্যালয় আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। শিক্ষার পাশাপাশি মস্তিষ্ক গঠনে খেলাধুলো অত্যন্ত প্রয়োজন।
১৯৫৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে সুনাম সুবিদিত। লং জাম্প, হাই জাম্প, ৩০০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা সহ মোট ৪০টি ইভেন্টে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ১৮০ জন প্রতিযোগী ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রতিযোগীকে মেডেল, শংসাপত্র, পেন এবং পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়। এছাড়াও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরাও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন। ছিল শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তির বার্তা দিয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা ঘটে। ক্রীড়া শিক্ষক সুখেন মন্ডল, দীপঙ্কর মন্ডল এবং রাজনাথ রায়ের সুদক্ষ পরিচালনায় সমগ্র ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গীণ সুন্দর রূপ পায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকান্দার রবিদাস বলেন, বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে আরো বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সকলেই বদ্ধপরিকর। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করো। তার সঙ্গে খেলাধুলাও করো। তোমাদের মাধ্যমেই আমাদের স্কুলকে রাজ্য এবং দেশের কাছে আমরা তুলে ধরতে পারি সেই চেষ্টা করে যাও।
এদিনের অনুষ্ঠানে শিক্ষক- শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং অভিভাবিকাবৃন্দের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় ছাত্রছাত্রীরা খুবই উৎসাহিত হয়েছে। উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন হাবরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা, মছলন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস কুমার ঘোষ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সনৎ কুমার বোস, বাণীপুর চক্রের এস আই সেলিম মন্ডল, তদন্ত কেন্দ্রের আধিকারিক রাখোহরি ঘোষ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।