রামপুরহাট, বীরভূম : রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে হত্যালীলা ঘটনার পরেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এছাড়া রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটে পৌঁছেই তৃণমূল নেতা এবং রামপুরহাটের ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর দু ঘন্টার মধ্যেই তারাপীঠ হোটেল থেকে আনোয়ার হোসেনকে আটক করে নিয়ে আসা হয় রামপুরহাট থানায়। তারপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ২২। আনোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিহত ভাদু শেখ তাকে ফোন করেছিলেন পুলিশকে আসার কথা বলার জন্য কিন্তু তিনি সেই কাজ করেনি। ভাদু শেখ সাহায্য চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ব্লক সভাপতি তার কাজটি ঠিকমতো করলে এই ঘটনা হয়তো ঘটতো না।
অন্যদিকে, রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। গত বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা না দিলে মামলা করা হবে।