সাগরপাড়া, মুর্শিদাবাদ : গত সোমবার সংবাদ মাধ্যমের কর্মীর কাছে খবর আসে, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার পেল্লাগড়ি এলাকায় জব কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে ২০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। সুব্রত প্রামানিক নামে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। সেখানকার কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁকে ছবি তুলতে বাধা দেন। তারপর সন্ধ্যেবেলায় তাঁকে ফোন করে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেল্লাগরী অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য জাব্বার সেখের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে বেশ কয়েকজন ওই সংবাদকর্মীকে তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ওই সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়। পরে তাঁকে সামনে বসিয়ে জোরপূর্বক টাকার বিনিময় ওই খবর করা হয়েছে এই মর্মে একটি ভিডিও করে নেওয়া হয় এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁরই এক সহকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনেন এবং তাঁকে শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় ডোমকল মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে এ সাংবাদিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কেন বারবার সংবাদ মাধ্যমকে সত্যি সংবাদ তূলে বাধা দেওয়া হচ্ছে! তবে কি কিছু লুকোনোর চেষ্টা? কেন বারবার গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ উপর আঘাত? যেখানে শাসক দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সম্মান ও কাজে বাধা দেওয়ার ঘোর বিরোধী, সেখানে শাসক দলের নিচুতলার কর্মীদের অনৈতিক কাজের হিসাব তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এই জন্যই কি এত রাগ !বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ করে সমগ্র সাংবাদিকরা এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।