নজরে বাংলা, কলকাতা : কিংবদন্তি শিল্পী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি সংগ্রহশালা করার জন্যও রাজ্য সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের প্রিয় ও স্নেহধন্য অভিনেতার জন্য সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সংগ্রহশালায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নামাঙ্কিত একটি চেয়ার বরাদ্দ করা হোক। শিল্পীর বাড়িতে এসে এমনই উদ্যোগের কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বাংলা চলচ্চিত্রের মহাতারকা, প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা – নাট্যকার – কবি – চিত্রকর প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্ফগ্রীনের বাড়িতে বুধবার সমবেদনা জানাতে যান পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী সর্বপ্রথম সৌমিত্র-কন্যা পৌলমীকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং তিনি সৌমিত্র-কন্যা পৌলমিকে জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে সবসময় ও সবরকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস জানান।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, উনি প্রবাদ প্রতিম অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে এবং ওনার ঘর পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে ভীষণ ভাবে আপ্লুত। প্রয়াত অভিনেতার ঘর পরিদর্শন তাঁর কাছে মহাতীর্থস্থান দর্শনের সমান। তিনি আরও বলেন, প্রয়াত মহাতারকা অভিনেতার সরল জীবনযাপনের ধরন দেখে তিনি অভিভূত।
তবে অধীরবাবু এও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার প্রয়াত অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন , ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার যে বিরূপ আচরণ প্রয়াত অভিনেতার সাথে করেছেন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তৃণমূল দল ক্ষমতায় এসেই সৌমিত্র বাবুকে বিভিন্ন পদ থেকে সরাতে শুরু করলো, যে মানুষটা শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বহু কমিটির মাথায় বসে বাংলার শিল্পকলাকে আরও প্রসারিত করতে পারতেন তাঁকে অবজ্ঞা করে অচ্ছুৎ করেই রাখা হল।
অধীরবাবু দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন যে, প্রয়াত অভিনেতার জীবনাবসান বাংলা তথা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি ।
এদিন সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান সৌম্য আইচ রায়, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, কার্যকরী সভাপতি সৌমেন পাল সহ অনান্য নেতৃত্ব বৃন্দ।