নজরে বাংলা, কলকাতা : করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেশ কিছু রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লাগু হয়েছে লকডাউন। পরবর্তীতে আংশিক লকডাউন। চালু হয়েছে রাতে রাত ন’টা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত ‘নাইট কার্ফু’ সারা রাজ্য জুড়ে। অত্যাবশ্যকীয় জরুরীকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন ছাড়া অন্য কারোর বাড়ির বাইরে বেরোনোয় সম্পূর্ণ বিধি-নিষেধ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাইট কার্ফু ঠিক ভাবে নাগরিকরা মানছেন কিনা তার জন্য বেহালার জেমস লং সরণি ট্রাফিক গার্ড-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং করা হয়। জেমস লং ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক প্রসেনজিৎ ঘোষের নির্দেশে সহ আধিকারিক রাজু মন্ডল ও জিতেন চক্রবর্তী এবং অ্যাডিশনাল ওসি শুভেন্দু সরকার প্রতিদিন রাতেই নাকা চেকিংয়ের কর্তব্য করে যাচ্ছেন।
যারা চার চাকা এবং দুই চাকার বাহন নিয়ে যাচ্ছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মিলিয়ে দেখা হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখা হচ্ছে। সত্যিই দারুণ জরুরী কালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ আধিকারিকরা নাগরিকদের কাছে আবেদন জানান, একান্ত জরুরি প্রয়োজন না পড়লে রাতের বেলায় ঘরের বাইরে বের হবেন না। কঠোর হাতে নাকা চেকিংয়ের ফলে মানুষের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও দেখা হচ্ছে মাক্স ছাড়া এছাড়াও দেখা হচ্ছে মাক্স ছাড়া রাস্তায় ঘোরাফেরা করা হচ্ছে কিনা, যদি কেউ মাক্স ছাড়া রাস্তায় বের হয় তবে তার বিরুদ্ধে জরিমানাও করা হচ্ছে। পুলিশের এহেন ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি এলাকার সাধারণ নাগরিকবৃন্দ।