হুমগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর : “এখন এসপিদের সরাচ্ছেন কদিন পরে মানুষ যিনি এসপিদের সরাচ্ছেন তাঁকে সরিয়ে দেবে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতৃত্ব যেকোনো দলের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা এটা বোঝে না তাদের জন্য বলব দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেননি তার ফল ভুগতে হবে।” শুক্রবার বিকেলে হুমগড়ে দলীয় এক সভায় যোগ দিতে এসে এ কথা বলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা।

তার আগে মেদিনীপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দুদার মতো গণ আন্দোলনে পরীক্ষিত একজন নেতাকে বিহারের কোন মাস্টারমশাই এসে ট্রেনিং দেবে এটা পাগলের প্রলাপ। বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিতে হবে পিকেকে। প্রশান্ত কিশোরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করছেন প্রতিদিন যে, তোমার শিক্ষা দীক্ষা রাজনীতির স্ট্র্যাটেজি কয়েকশ কোটি টাকার প্রোডাক্ট পশ্চিম বাংলায় চলবে না এসব ছকবাজি। একদিকে সরকার বলছে দুয়ারে দুয়ারে, আর দেখা যাচ্ছে পিকে শুভেন্দুদার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই দাপট কোথায় তৃণমূল কংগ্রেসের, যখন তখন সাসপেন্ড করে দেওয়া।

সেই সাসপেন্ড মন্ত্রী কোথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাপের ব্যাটা হলে ব্যবস্থা নিতে বলুন। দায়িত্ব নিয়ে বলছি এই সরকারটি এখন ডেড বডিতে পরিণত হয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেটটা ইলেকশনের দিন লিখে দেবে মানুষ, আমরা নিয়ে চলে যাব।
এদিন বিকেলে হুমগড় দুর্গামন্দির মাঠে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ডাকে এক জনসভা হয়। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস, রাজ্য যুবমোর্চার সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা, সুজাতা খা সহ একাধিক নেতৃত্ব। সভা শেষে বেস কয়েকজন তৃনমুল কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।