নজরে বাংলা, বোলপুর (বীরভূম) : কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন জারি করেছেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো লকডাউন কার্যকরী করতে গিয়ে তাঁর দলের নেতার সঙ্গেই বচসা হলো পুলিশের। বুধবার লকডাউন কার্যকর করতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোলপুরের শান্তিনিকেতন থানার শ্রীনিকেতন মোড়ে ডিউটি করছিলেন শান্তিনিকেতন থানার এসআই প্রিয়ঙ্কা রুজ। সঙ্গে ছিলেন থানার কনস্টেবল ও সিভিক ভলেনটিয়াররা। নিজেকে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য ও রূপপুর পঞ্চায়েতের সিক্স ম্যাস কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দেওয়া শ্যামাপদ দাস (বাবু) বাইক স্কুটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেনটিয়ার জানান, শ্যামাপদ দাসের মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই তাঁকে দাঁড়াতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কর্তব্যরত পুলিশদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
যে তৃণমূলের সরকার লকডাউন ঘোষনা করেছে তাদেরই দলের এহেন নেতা লকডাউন অমান্য করা ও পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধীদের মধ্যেও। শ্যামাপদ (বাবু) দাসের এহেন আচরণে বিরক্ত দলের জেলা নেতারাও। জেলা পর্যায়ের এক নেতা বলেন, এটা চরম অসভ্যতামি। এরাই দল ও সরকারের বিপদ ডেকে আনছে। যদিও শ্যামাপদ দাস সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমার পাড়ার একজনকে সাপে কামড়েছে। তাই বেড়িয়ে ছিলাম। লকডাউন হোক আমরাও চাই।
বুধবার রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ সকাল থেকেই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সম্পূর্ণ লকডাউনের সময় বোলপুর করোনা বিষয়ে সচেতনতা করতে গিয়ে বোলপুরে শান্তিনিকেতন থানার ওসির সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন বিশ্বভারতীর এক কর্মী। তখনও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় নিন্দায় সরব হয়েছেন সমাজসচেতন মানুষ। আজ আবার তৃণমূলের নেতার দাদাগিরিতে বিরক্ত বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিদ্দ্বজনদের একাংশ।