মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা : ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর ওপর হামলার প্রতিবাদ ধিক্কার ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মছলন্দপুরে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথে তার গাড়ির উপর বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই হামলায় প্রতিবাদে এদিন এই জেলার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুরে বিরাট প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় হাবরা ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। প্রতিবাদ মিছিল চলে বেশ কিছু সময় ধরে। বয়েজ ক্লাবের মাঠ থেকে শুরু করে মিছিল পূর্বাশা হল ছাড়িয়ে আবার ফিরে আসে তিন রাস্তার মোড়ে। এরপর সেখানে বক্তব্য রাখেন হাবরা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত সাহা। বিজেপির এই ঘৃণ্য কাজের নিন্দা করে তিনি কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন।
এ দিনের মিছিলে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বেড়গুম ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি কল্যাণ দত্ত, মছলন্দপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক সরকার, হাবরা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নেহাল আলী, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ, মছলন্দপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস কুমার ঘোষ, জেলা পরিষদের সদস্যা অনিতা রায়, এই ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানেরা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অজিত সাহা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর উপর হামলা চালানো অত্যন্ত নিন্দানীয়। ত্রিপুরায় গনতন্ত্র নেই। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক দেবাংশু ভট্টাচার্য ও সুদীপ রাহা-র ওপরও হামলা চালানো হয়। বাংলার যুবদের আইকন, আমাদের দলের নয়নের মণি অভিষেক ব্যানার্জীর গাড়ির উপরে বিচ্ছিরি ভাবে হামলা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যে সমস্ত নেতারা ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন তাদেরকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় আটকে রেখেছিল। তাদেরকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই অভিষেক ব্যানার্জী সেখানে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরার বিজেপি যদি মনে পড়ে আমাদের নেতা-নেত্রীকে আটকে, হামলা করে আন্দোলনকে রুখে দেবে তাহলে তারা ভুল করবে। তৃণমূলের আন্দোলনকে কখনও স্তব্ধ করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যদিও এই ঘটনায় দায়ী একথা বলবো না। কিন্তু এখানে বিজেপির বন্ধুরা এতে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, আড়ালে বসে হেসে চলেছেন। ওদের মনে রাখতে হবে এই হাসিটা বন্ধ হয়ে যাবে। এরকম ঘটনা যদি বারবার ঘটে তাহলে বিজেপির নেতা-নেত্রীদেরও আমরা বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি সেটা নয়।